বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়নের দিয়াতলী গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মজিদ ক্বারী এখনো এলাকার মানুষের বিস্ময়ের কেন্দ্রবিন্দু। বয়স ১২০ বছর হলেও তিনি অন্যের সাহায্য ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন।
বাংলা ১৩১৫ সালে জন্মগ্রহণ করা এই প্রবীণ ব্যক্তির পিতার নাম ছিল মো. হাতেম মোল্লা। শৈশবে তিনি কুমিল্লা জেলার হযরত ইব্রাহিম ক্বারী মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করেন। পরে এলাকায় ফিরে এসে দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় স্থানীয় এক মসজিদে ইমামতি করেন।
দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে ইব্রাহিম ক্বারী ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁর বড় ভাই প্রায় চল্লিশ বছর আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন।
বর্তমানে বয়সের ভার থাকা সত্ত্বেও ক্বারী আবদুল মজিদ নিজেই মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করেন। এমনকি বাজার থেকে হালকা ওজনের পণ্য কিনে নিজে বহন করেও আনতে সক্ষম।
চার মেয়ে ও দুই ছেলের জনক এই প্রবীণ ধর্মপ্রাণ মানুষ নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্য। নিজের কোনো জমিজমা নেই বললেই চলে। বর্তমানে তিনি শুধুমাত্র সরকারি বয়স্ক ভাতা পান, এর বাইরে কোনো সহায়তা তাঁর নেই।
কলসকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. দুলাল জানান,
আবদুল মজিদ ক্বারী আমাদের ইউনিয়নের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি। তাঁর বয়স এবং স্বাবলম্বিতা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাঁর জন্য কিছু করার চেষ্টা থাকবে।
এলাকাবাসীর দাবি, শতবর্ষী এই প্রবীণ মানুষটির প্রতি সরকারি ও সামাজিকভাবে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত